News and Events
শাবিপ্রবিতে সাস্ট রাইটিং সেন্টার’র উদ্যোগে ‘মাস্টারিং একাডেমিক রাইটিং: ফ্রম প্ল্যানিং টু প্রোডাকশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন
Date : 01 Dec 2025
আজ পহেলা ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখ, সকাল সাড়ে ৯টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট-এ সাস্ট রাইটিং সেন্টার-এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুইদিন ব্যাপী ‘মাস্টারিং একাডেমিক রাইটিং: ফ্রম প্ল্যানিং টু প্রোডাকশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ সাজেদুল করিম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান বিশ্বে একাডেমিক ও সায়েন্টিফিক গবেষণার মান নির্ভর করে যথাযথ একাডেমিক রাইটিং দক্ষতার ওপর। ভালো গবেষণার যথাযথ মূল্যায়ন তখনই সম্ভব যখন তা মানসম্পন্ন প্রক্রিয়ায় প্রকাশিত হয়। গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিতে হলে গবেষণাপত্র লেখার কাঠামো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, শাবিপ্রবি সবসময় শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করে। সাস্ট রাইটিং সেন্টার-এর এই উদ্যোগ আমাদের গবেষণাধর্মী পরিবেশ গড়ে তোলার ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নেবে। আশা করি, এই প্রশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র তৈরিতে দক্ষ করে তুলবে এবং তাদের একাডেমিক কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ সাজেদুল করিম বলেন, আমরা এমন একটি চমৎকার শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ করতে পারবে। একই সঙ্গে তারা যেন শুদ্ধ ও সাবলীলভাবে বাংলা বলা ও লেখার দক্ষতা অর্জন করতে পারে। প্রয়োজনে সে ভাষার জ্ঞানকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তর করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আমাদের প্রত্যাশা, সব অনুষদের শিক্ষার্থীরা যখন ৪র্থ বর্ষে পৌঁছাবে তখন তারা যেন গর্বের সাথে বলতে পারে যে তারা ইতোমধ্যে এক বা একাধিক পাবলিকেশনের মালিক হয়েছে। গবেষণা ও প্রকাশনার এই সংস্কৃতি ভবিষ্যতের ক্যাম্পাসকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু টিচিংয়ের জায়গা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলো এক ধরনের একাডেমিক এক্সিলেন্স হাব। এখানে টিচিংয়ের পাশাপাশি ‘রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন’ এ যত বেশি অগ্রসর হতে পারব বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং তত উন্নত হবে এবং ভালো আউটপুট পাওয়া যাবে। আমরা যত ভালো রিসার্চ করি না কেন পাবলিকেশন না হলে কোন লাভ নেই। আশা করি, এখানে অংশগ্রহণকারী সবাই আগামী এক বছরের মধ্যে অন্তত একটি করে পাবলিকেশন উপহার দিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাস্ট রাইটিং সেন্টার-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুরাদ। সঞ্চালনা করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ সিদ্দিকী।
প্রশিক্ষণে ট্রেইনার হিসেবে রয়েছেন পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল জলিল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা-লিংকন-এর প্রভাষক (অবসরপ্রাপ্ত) ও ভিজিটিং স্কলার টিমোথি আর জ্যান্ডা।
উল্লেখ্য, এ প্রশিক্ষণে সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ থেকে মোট ৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণে এগ্রিকালচার এন্ড মিনারেল সায়েন্সেস, এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি, লাইফ সায়েন্সেস এবং ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদভুক্ত মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের আরও ৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও থিসিস লেখার মৌলিক ধারণা, সুশৃঙ্খল কাঠামো, ভাষাগত শুদ্ধতা এবং সুপারভাইজারের পরামর্শ যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দক্ষতা বৃদ্ধি।