শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে বেলুন উড়ানো হয় এবং এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে কেক কাটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
কেক কাটার পূর্বে আয়োজিত সমাবেশে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ সত্যিই আনন্দের দিন। আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এই সময়ে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বহুভাবে বিকশিত হয়েছে। এই উন্নয়নে যাদের অবদান রয়েছে, বিশেষ করে সিলেটবাসী এবং যাদের চেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমি তাদের স্মরণ করছি আজকের এই দিনে। একই সাথে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই ৩৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে, এই অঞ্চলের এবং দেশের মানুষ গর্ব করতে পারবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণা নির্ভর করে গড়ে তুলব। আপনাদের আনন্দের জন্য জানাচ্ছি, আমরা ২৫৩ কোটি টাকার দুইটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছি। সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে হযরত শাহজালাল (র.) এর নামে একটি কর্ণার তৈরি করার, আমরা সেটিও বাস্তবায়ন করব।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Copyright © 2025