আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি, ২০২৫) সকাল ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্নার মাগফেরাত এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করে বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যত ভালবাসা পেয়েছি তা আর কোথাও পাইনি। পাশাপাশি আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যত ভালোবাসি এমন করে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসিনি। এই ভালোবাসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। আমার সময়ে বনায়ন ও ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতার জন্য পরপর দুইবার পুরস্কার পেয়েছিলাম। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতায় এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাল অবস্থানে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশপ্রেম হল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের শিক্ষা দিবেন। আগামীতে ক্লাস ওয়ান থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করব। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করব। আমরা আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চাই না।
সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি চেষ্টা করছি স্যারের কাজ গুলো অনুসরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। শাবিপ্রবিকে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স করার জন্য স্যারের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাব। স্যার যেন সারা দেশে শিক্ষার জন্য ভাল কিছু করেন এই কামনা করি।
মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মো. নিজাম উদ্দিন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমদ। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তর প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
এদিকে বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ১০০০ আসন বিশিষ্ট দুইটি ১০ তলা হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
Copyright © 2025